Responsive Ad

গেমস খেলে টাকা আয় করুন এবং অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ুন


কি টাইটেল দেখে অবাক হলেন? হুম অবাক হবারই কথা। কারন গেমস খেলে কিভাবে টাকা আয় করবেন এটা বুঝতে পারলেন না তাইতো? হ্যাঁ এটা সম্ভব, গেমস খেলে টাকা আয় করা যায়। বর্তমানে এমন অনেক গেমার আছে জারা শুধুমাত্র গেমস খেলে হাজার-হাজার টাকা আয় করছে। তবে এটা শুনতে যতটা সহজ মনে হয় কাজটা ততটা সহজ নয়,এর জন্য প্রয়োজন একাগ্রতা এবং ধৈর্য নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তাহলে চলুন আমরা শুরু করি।

Games খেলে টাকা আয় করার জন্য কি কি লাগবে?

১. সবচেয়ে প্রথম যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হলো একটা গেমিং ডিভাইস। কম্পিউটার অথবা ভালো কোন ল্যাপটপ হলে ভালো হয়,এগুলো না থাকলেও সমস্যা নেই। ভালো একটা মোবাইল থাকলেই চলবে। তবে মোবাইল এর র্যাম (Ram) অন্তত ২জিবি হতে হবে,কারন High Graphics গেম খেলা সাথে Screen Record করা তারপর আবার ভিডিও এডিট করতে হবে, এজন্য কমপক্ষে ২জিবি র্যাম লাগবে আর যদি আরো বেশি হয় তাহলে ভালো।
২. গেমিং ডিভাইস এর পাশাপাশি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন।কারন বর্তমানে যতগুলো জনপ্রিয় গেমস আছে তারমধ্যে বেশিরভাগই অনলাইন গেমস।
৩. আর একটা Youtube Channel খুলতে হবে। Youtube Channel খোলা খুবই সহজ আর যদি না পারেন তাহলে Youtube এ গিয়ে সার্চ করবেনঃ How to create youtube channel from Bangladesh.. তারপর অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন।
৪. গেমস এর স্ক্রিনরেকর্ড করার জন্য ভালো একটা স্ক্রিনরেকর্ডার প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন। প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করবেনঃ Screenrecorder.. আমি কয়েকটা সাজেশন দিচ্ছি এগুলোও ডাউনলোড করতে পারেন। যেমনঃ Du Screenrecorder, Mobizen ইত্যাদি।
৫. ভিডিও এডিট করার জন্য একটা ভিডিও এডিটর লাগবে। প্লে স্টোরে Video Editor লিখে সার্চ করলে অনেক এপস পেয়ে যাবেন। তবে আমার মতে সেরা ভিডিও এডিটর হলো Kinemaster. তাছাড়া PowerDirector টাও অনেক ভালো।
৬. ভালো দেখে কিছু গেমস নির্বাচন করুন এমন গেমস নির্বাচন করবেন যেগুলো জনপ্রিয় এবং মানুষ পছন্দ করে। এখন খুব জনপ্রিয় ৩টা গেমস হলোঃ Pubg, Free Fire, Mobile Legends...
ইচ্ছা করলে নিচের পোস্টটা দেখে আসতে পারেন।
  • বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় কিছু অনলাইন এবং অফলাইন গেমস

  • কিভাবে টাকা আয় করবো?

    উপরের সবগুলো কাজ হয়ে গেলে এখন শুধু আপনি যখন গেমস খেলবেন তখন Screenrecorder দিয়ে গেমটা স্ক্রিনরেকর্ড করে রাখবেন, তারপর যদি মনে করেন যে এডিট করা লাগবে তাহলে এডিট করুন আর যদি না লাগে তাহলে Youtube Channel এ আপলেড করে দিন। তাছাড়া আপনি Live Stream ও করতে পারেন। এরপর ভিডিওতে বেশি বেশি ভিও পাওয়ার জন্য ভিডিওটা Facebook সহ বিভিন্ন Social Network সাইটে শেয়ার করতে পারেন এবং আপনার বন্ধুদেরকেও বলবেন শেয়ার করতে। এভাবে আস্তে আস্তে ভিডিওতে ভিও এবং চ্যানেলে সাবসক্রাইবার বাড়াতে থাকুন, তারপর আপনি যদি Youtube এর মিনিটাইজেশন শর্ত পূরন করতে পারেন আশা করি মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন, অন্তত নিজের পকেট খরচটা নিজেই চালাতে পারবেন।
    বিঃদ্রঃ YouTube Monitization পেতে হলে আপনার চ্যানেলে ১ হাজার Subscribe, ১০ হাজার ভিও এবং ৪০ হাজার ওয়াচটাইম থাকতে হবে যখন আবেদন করবেন তার বিগত ১২ মাসে।এটা যে প্রথম ১২ মাসেই করতে হবে তা নায় যেকোন ১২ মাসে করলেই হবে।
    পোস্টা টা ভালো লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন আর যদি কোন সমস্যা অথবা প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্ট করে জানান।

    Post a Comment

    1 Comments